how-to-earn-52k-usd-within-16-months

১৬ মাসে যেভাবে ৫২কে ইউএসডি আয় করলাম! (নিউবি কেস স্টাডি)

কেউ কেউ ভাবছেন ১৬ মাসে ৫২কে ইউএসডি তো ব্যাপার না, কেউ কেউ আবার ওয়াও রিয়েক্ট দিবেন আর এটাই বাস্তব, আমরা যারা এই ফিল্ডে কাজ করি (এমাজন এফিলিয়েট), কারো একদিনের আয় আবার কারো এক মাসের আয়ের সমান, আবার একজনের সাইট বিক্রয়ের আয় কারো একমাসের আয়ের সমান । আর আমার এই ৫২ কে আয় হচ্ছে একটা সাইট এর মাসিক আয় + সাইট  বিক্রির যে মুল্য তার সমষ্টি। আর নেট আয় যদি হিসাব করি, সব খরচ বাদ দিয়ে সেটা দাড়ায় ৪৬কে ইউএস ডলার। নিচে আয় এবং ব্যয়ের একটা সামারি দেয়া হলো:

ব্যয়ের একটা সামারি

অনেকের প্রশ্ন, কম দামে সাইটটা সেল করে দিলেন না!  আমি বলব কম না, আবার কমই। তার কিছু কারণ আছে।

কারন ১ঃ সাইট লিস্ট করা হয় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে, মাসের শেষে আবার ফেব্রুয়ারির ইনকামটা আপডেট করে দিলাম। তার মানে হল মার্চের যে ইনকাম কম হচ্ছে সেটা আর বায়ার দেখছেনা। কিন্তু আমার মাথায় সেটা আছে। সেই অনুযায়ী আমি বিডটা এক্সেপ্ট করি। এই বিষয়টা  না হলে আমি ৪০কে এর নিচে রাজি হতাম না।

কারন ২ঃ টাকার প্রয়োজন ছিল, সেল না করে এভারেজ ইনকামটা আবার আগের জায়গায় ফেরার অপেক্ষা করব, সেই সময় ও মানসিকতা আমার ছিল না।

কারন ৩ঃ কম্পিটিশন দিন দিন বাড়ছে। ওয়াইজ পিক এর সাথে আর ফাইট করে পারছিনা। প্লাস আরও নিচের কম্পিটিটররা কাজ করছে। আমি শুধুমাত্র অনপেজ টা আপটুডেট রাখছি, কোন লিঙ্কবিল্ডিং বা অন্য কোন  কিছু কাজ করিনি। পক্ষান্তরে কম্পিটেটরা এগিয়ে আসার জন্যে সব কিছুই করে যাচ্ছে। আমি ঠিকে ছিলাম কারন আমার সাইটটা একদম সুনির্দিষ্ট নিশ টার্গেটেড ছিল। ছোট নিস টার্গেট করা ইএমডি সাইট ছিল, সাইট সেল দেওয়ার পিছনে এটাও আরো একটা বড় কারন। 

এটা কি আমার প্রথম সাইট?

যেহেতু এটা আমার প্রথম কেস স্টাডি, সুতরাং আরও একটু শুরু থেকে শুরু করি? প্রশ্ন করে ফেলছি ঠিক কিন্তু উত্তর এর অপেক্ষা করতে পারলাম না :P, ধরে নিলাম মেক্সিমাম রিডাররা কিউরিসিটি থেকে শুরু থেকেই শুনতে চাচ্ছেন 😛 আর যাদের ধর্য্য নাই তারা স্কিপ করে যেতে পারেন আমার এই বকবকানি 😀 ।

না! এটা আমার ২য় সাইট।

তাহলে প্রথম সাইটের গল্পটা? বলেই ফেলি তাহলে, কারন একটু আগেই বলেছি শুরু থেকেই শুরু করব, তাইনা? হুম, তাহলে প্রথম সাইটটা কি ফেইল করছেন?

না! প্রথম সাইটটাও আমি অনেক লাভে সেল করছি, কত তাহলে? ১০০কে! নারে ভাই! এর ধারে কাছে হইলে তো সেটার কেস স্টাডি আরও আগে থাকত।

তাহলে?

হুম, টাকার দিক দিয়ে ঐ সাইটের দাম অনেক কম ছিল, অনেক লাভ আসলে শুধু টাকা দিয়েই বিচার করা যায় না, ঐ সাইটের কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, আর সেই শিক্ষার মূল্যটা টাকা দিয়ে দিতে পারবেনা কেউ, তবে হ্যা! টাকা লস হয়নি ঐ সাইট বিক্রয়ে । বরং লাভই করেছি।

সাইটটা শুরু করেছিলাম ২০১৮ এর এপ্রিলের দিকে, আর ২০১৯ এর মার্চে সেল করে দেই। ১১ মাসের মাথায় সেল করে দেই আল্লাহর রহমতে, আলহামদুল্লিয়াহ।

১ম সাইটে ইনভেস্ট করেছিলাম ৬০০ ইউএসডি এর মত, আর সেল করেছিলাম ১২০০ ইউএসডিতে এএমজেড গ্রুপেরই দেশি এক ভাইয়ের কাছে। আর ১২০০ এর সাথে মাসিক আয় আরও কিছু পেয়েছিলাম। সব মিলিয়ে প্রথম সাইটে বলতেই পারি অনেক লাভ হইছে, টিক কি না? (হুজুরদের মত 😛 )

প্রথম সেই সাইট তৈরি করে বিক্রি করা পর্যন্ত আমার যে অভিজ্ঞতা, কনফিডেন্স এবং সাহস সঞ্চয় হয়, সেটা থেকেই ইএমডি ও স্পেসিফিক নিশের এই সাইটটি কেনার দুঃসাহস করতে পেরেছি। সেই গল্পই আপনাদের কে বলব আজ!

হুম, অনেক হইছে, এবার মূল গল্পে আসেন!

সেল করা এটা আমার ২য় সাইট যেটা আমি ২০১৮ এর অক্টোবর এর ১৫ তারিখ ৬০০০ ইউএসডি দিয়ে কিনেছিলাম, যার দাম ধরা হয়েছিল L6M গড় ইনকাম ৩০০ ইউএসডি এর ২০ গুন আর সেল ট্রাকিং করা শুরু করেছিলাম ১৭ তারিখ থেকে, অর্থাৎ আমি এই সাইট থেকে ইনকাম করা শুরু করি অক্টোবর এর ১৭ তারিখ থেকে।

ওয়েবসাইট টি কি কি দেখে কিনেছিলে?

এই রকম সাইট কিনার আগে অনেক কিছুই দেখে-বুঝে কিনতে হয়, আমি যেগুলা দেখে কিনেছি, সেগুলা স্টেপ-বাই-স্টেপ নিচে দেয়া হল।

১। সাইটের গ্রোথ

সাইটের ভিসিটর প্লাস ইনকাম গ্রোথ টা ভাল ছিল। 

২। সাইটের কন্টেন্ট

এই সাইটের কন্টেন্ট ভাল ছিলনা, তাও আমি নিয়েছি কারন সেই কন্টেন্ট দিয়েও ভাল আয় করছিল সাইট টা কারন তার কিওয়ার্ড টা খুব প্রফেটিবল ছিল। আমার কনফিডেন্ট ছিল কিনে কন্টেন্ট আপডেট করে নিলে আর ভাল সেল পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৩। কিওয়ার্ড

আগেই বলে দিয়েছি , সাইটের মেইন কিওয়ার্ড টা ভাল প্রফেটিবল ছিল কিন্তু রিক্স ছিল একটা কিওয়ার্ড থেকেই সব ইনকাম আসত, অন্য কিওয়ার্ড ভাল থাকলেও র‍্যাংকের ধারেকাছেই ছিলনা, সব মিলিয়ে ব্যাপারটা রিস্কি ছিল। তাও সাহস করে এগিয়েছি। কিন্তু এটা রিকোমেন্ডেড না।আমার মত নিউবি যারা আছেন, তারা এরকম সাইট না কেনার সাজেশন করব। 

৪। অনপেজ/টেকনিকাল এসইও

অনপেজ/টেকনিকাল এসইও তে দুর্বল থাকলে আমি খুশি হই যদি, কারন এগুলা ফিক্স করা ইজি, সময় কম লাগে। এটাই কি রিজন? না, আমার চিন্তা থাকে এই প্রব্লেম থাকা অবস্থায়ই যখন সাইট ভাল করতেছে তাইলে আমি এগুলা ফিক্স করার সাথে সাথে সাইট টা আরো র‍্যাঙ্কিং এ বুস্ট করবে। এটা কিনার পর সার্চ কন্সোলেও কিছু এরর পাইলাম। এরর টা ছিল থিমস এর কারনে। থিমস সকল ডাটা টিক মত পাচ্ছিলোনা তার করনে সার্চ কন্সোলের ডাটা হাইলাইটার দিয়েও ডাটা গুলা হাইলাইট করে দিতে গিয়েও ডাটা পাচ্ছিল না। সে কারনে থিমস চেঞ্জ করে নিলাম। থিম চেঞ্জ করার সাথে সাথে দেখলাম প্রব্লেম গুলা ফিক্স করতে পেরেছি। এছাড়াও সেই থিমে আমি কমফোর্ট ছিলাম না ইচ্ছা মত সাইটও সাজাতে পারছিলাম না।

আমি এই ৪টা বিষয়ই দেখছিলাম। কিন্তু এই রকম সাইট কিনতে চাইলে আরও অনেক কিছু দেখে কিনতে হবে। সেই বিষয়ে না হয় আরও একটা আর্টিকেল দেওয়ার চেস্টা করব।

সাইটা সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

কিনে যা যা পেয়েছিলামঃ

নিসঃ হোম ইম্প্রুভমেন্ট (কিচেন ফিক্সচার)

৩ বছরের ডুমেইন রিনিউ করা।

ফেবু একাউন্ট।

টুইটার একউন্ট।

আর্টিকেলঃ ৪৬ টি, ৫০ হাজার ওয়ার্ডস (ঠিক মনে নাই)

মানি আর্টিকেলঃ ৩ টা আর কয়টা সিঙ্গেল রিভিউ ছিল, সেগুলা কোন কাজের ছিলনা। খারাপ মান ছিল আর্টিকেল এর। বাকি সব ছিল ইনফো আর্টিকেল।

কিনার পর আপনার প্লান এবং কাজ গুলা কি ছিল?

  • প্লান তেমন কোন ছিলনা। একটাই ছিল লস হলে যেন ৬কে ইউএসডি হয়। আর তেমন ইনভেস্ট করবনা। ধীরে ধীরে প্রব্লেম গুলা ফিক্স করে মাসে ২/১ টা করে ইনফো আর্টিকেল দিয়ে আয়টা আরেকটু বাড়িয়ে সেল দিয়ে দেয়া সেই ভাবেই কাজ করলাম
  • প্রথম যেটা করলাম সেটা হইছে, সাইটে কিছু পিবিএন ছিল (৫টি মনে হয়), তাও আবার অনেক খারাপ মানের। আমি রিস্কে থাকতে চাইনি।  অল্প অল্প করে কয়েকটা গেস্টপোস্ট করে পিবিএন ডিলিট করে দেই ধারাবাহিক ভাবে।
  • দ্বিতীয়ত আস্তে আস্তে রিভিউ আর্টিকেল গুলা নতুন করে লিখতে লাগলাম, পুরাটা নতুন করে, কারন আপডেট করার মত আর্টিকেল ছিলনা। মেইন আর্টিকেল এর কিছু প্রডাক্টেও প্রব্লেম ছিল, সেগুলাও চেঞ্জ করে রাইটারকে দিয়ে দিলাম। কম্পিটশ্ন সেই সময় কম থাকায় সেই আর্টিকেল দিয়ে টিকে ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে কম্পেটিশন বাড়তে লাগল। আমার র‍্যাঙ্কও ডাউন করছে সেই অবস্থায় আর্টিকেলও পাচ্ছিনা বুঝতেই পারছেন, এখনকার ভাল রাইটাররা খুব বিজি। যাই হুক একে একে সব রিভিউ আর্টিকেল দিলাম র‍্যাঙ্ক ফিরেছে। সাথে যেগুলা র‍্যাঙ্ক এর ধারে কাছে ছিলনা ১ মাসে মাথায় সেগুলাও প্রথম পেজে চলে আসছে। আমার জানও তখন জায়গায় আসল 😛 অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে তেমন সেল পেলাম না। যে এভারেজ ধরে কিনা হইছে তার থেকে কম ছিল আর নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে এই নিসে এমনিতেই ইনকাম কম হয় জানুয়ারিতে এক লাফে প্রায় ৮০০ তে চলে গেলে সাথে আমিও একটা লাফ দিলাম 😛 । এই রকম আলহামদুলিল্লাহ  ইনকাম বাড়তে শুরু হলো।
income of January 2019
  • তৃতীয়ত কিছু ইনফো আর্টিকেল আপডেট করলাম। ২/১ টা করে লিঙ্ক নেয়া শুরু করলাম
  • চতুর্থত ইনফো আর্টিকেল মাসে ২/১ টা দিতে থাকলাম প্লান অনুযায়ী আর সব মিলিয়ে ৩/৪ টা রিভিউ আর্টকেলও দিলাম। ব্যাস!

সেল করার সময় সাইটের অবস্থা:

মেইন কন্টেন্ট স্নিপেট এবং ১ নং পজিশনে আপ ডাউন করছিল, বাকি ৮০% রেভিউ আর্টিকেল এর মেইন কিওয়য়ার্ড ১-৬ এর ভেতরে ছিল। 

সাইটের ইনকাম এবং এক্সপেন্স

সাইট কিনেছিলাম ৬ কে ইউএসডি দিয়ে যা আগেই বলেছি। ২০১৮ অক্টোবর এর ১৭ তারিখ থেকে ২০২০ এর মার্চ পর্যন্ত আমাজন থেকে আয় করি ১৬৫১১ ইউএস ডলার, আর সাইট সেল করি ৩৬০০০ ডলার দিয়ে। তাইলে মূট আয় দাড়ায় ,

১৬৫১১+৩৬০০০= ৫২৫১১

নতুন আর্টিকেল দেয়া এবং আপডেট করার পিছনে হয়েছে এপ্রুচ  ৪৫৫ ডলার

আর গেস্ট পোস্ট করে আর সেল করে মোটামুটি আয়-ব্যয় সমান হয়ে ছিল তাই এটার হিসাব টা আর আনিনি। আপনাদের জানানোর জন্যে শুধু বলি লিঙ্ক এর জন্য এপ্রুচ ১৫০ ডলার খরচ হয়েছে এবং লিঙ্ক সেল করে আয়ও করে ফেলছি সেটা। সেই অনুযাই লাভ দাড়ায়,

মোট ইনকামঃ ৫২৫১১ বিয়োগ সাইট কিনা ৬০০০ ডলার

সুতরাংঃ ৫২৫১১-৬০০০= ৪৬০৫৬ ডলার

Income screenshot 2018 to 2020

সাইট সেল/ ইনভেস্টর্স.ক্লাব রিভিউ

Your receipt from Mercury Investors.clubসাইটটা Investors.club এ সেল করি ৩৬০০০ ডলার দিয়ে। কিন্তু এক্সপেরিয়েন্স মোটেই ভাল ছিল না। তারা কোন ফি নেয়না ঠিকই যেমন আপনি EmpireFlippers এ সেল করার পর তারা ১৫% কেটে রাখে। কেটে রাখার পর যে অঙ্কটা আসে সেই দামেই আমি ইনভেস্টরস ক্লাবে সেল করেছি, তার মানে ঘুরে ফিরে সমান।

বায়ারের বিড করার পাশাপাশি ইনভেস্টর্স ক্লাব সাথে সাথে মনে করিয়ে দেয় সেল যত ডলারে করবেন পুরা অংশটা আপনি পাবেন সুতরাং; আপনি এই প্রাইসে মেনে নিতে পারেন।

আর আপনিও যখন দেখবেন বিড কম হচ্ছে, আপনার হাতে সময় নাই অন্য যায়গায় নিয়ে লিস্ট করবেন আর সেই লিস্ট লাইভ হতে অনেক সময় লাগবে (লম্বা একটা প্রসেস) আপনার টাকারও প্রয়োজন, তখন আপনি সেল করে দিতে বাধ্য হবেন। আর আমারও কিছু দুর্বলতা ছিল, সেটা উপরে সাইট সেলের কারন থেকে আপনার জেনেছেন ইতিমধ্যে।

আরও একটা কথা শুরুতে তারা বলেছে, তাদের Escrow ইউজ করলে কোন ফি লাগবেনা, পৃথিবীর যেকোন ব্যাংকে তারা টাকা ট্রান্সফার করতে পারবে, কিন্তু শেষে বলে, বাংলাদেশে তারা এই মুহূর্তে সেন্ড করতে পারছেনা। তাই বাধ্য হয়ে Payonner এ আনতে হল, এবং Payonner আমার মোট টাকার ১% খেয়ে নিলো।

কিন্তু, আপনার হাতে যদি সময় থাকে আর কোন দুর্বলতা না থাকে, তাহলে আপনি ইনভেস্টর্স.ক্লাব ট্রাই করতে পারেন। সাক্সেস ফি ছাড়া যদি ৩০এক্স পাওয়া যায় ক্ষতি কি?

তাঁরা কেন সাক্সেস ফি নেয়না?

তাঁরা নতুন ব্রোকার কম্পানি যার কারনে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি একটু ভিন্ন রাখছে আমার ধারণা, কিন্তু ঘুরে-ফিরে একই তারা লাভ করে বায়ার এর কাছ থেকে। লিস্ট করা সাইট গুলা দেখতে চাইলে বায়ার তাদের পেইড মেম্বারশিপ নিতে হবে।

শেষ কথাঃ

এতক্ষন শুধু সাক্সেস এর গল্পই শুনলেন কিন্তু এই সাক্সেস এর পিছনে রয়েছে অনেক শ্রম। তাই সব সাক্সেসফুল মানুষের একটাই কথা বেশি বেশি করে পড়া-শুনা করেন। সেই অনুযায়ী ধৈর্য্যের সাথে কাজ করে যান।

শেষ?

শেষ কেমনে হবে, আরও একটা প্রশ্ন আছে না আপনাদের? 

খুব তো বললেন টাকার দরকার, টাকার দরকার, কি করবেন টাকা দিয়ে, অন্যান্য সাইটে ইনভেস্ট করবেন?

না, আমার উত্তরটা সবার মত সেইম না। বাকি সাইট গুলাতে ইনভেস্ট করার টাকা বাকি সাইট গুলা থেকেই আসছে আলহামদুল্লিয়াহ!

তাহলে?

আমার মা-বাবার স্বপ্ন মনের মত একটা বাড়ি বানাবেন। আর আমারও স্বপ্ন অনেক সুন্দর একটা বাড়ি করব, তাই এই পুরা টাকাটাই বাবার হাতে যাবে বাড়ির কাজে লাগানোর জন্য।

যদিও এই টাকায় স্বপ্নের বাড়ি হবেনা জানি, তবে ২ বছরের ভিতরে আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্নের একটা বাড়ি হবে, ইনশাআল্লাহ! 

আরও একটা কথা, আমি বিশ্বাস করি, আমার এই অর্জনটা মা-বাবার দোয়া ছাড়া এত সহজে আর কম সময়ে সম্ভব হতো না। আমার মা-বাবার জন্য দোয়া করবেন। আপনারাও মা-বাবার বাধ্য হয়ে চলবেন, তাহলে আপনারাও আপনাদের অর্জন ও সফলতার পথে আল্লাহর দয়া ও সাহায্য পাবেন সুনিশ্চিত!

ধন্যবাদ! এত কষ্ট করে পড়ার জন্যে।

Sabbir Ahmed